আসসালামু আলাইকুম ।
আজ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করতে চাই।
আমি আমার বিশ্বাসের কথা বলছি, কারো সাথে না মিললে আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আসলে সবাইতো সবকিছু নিজের জ্ঞান, বিবেক, বুদ্ধি দিয়েই করে থাকে; বিষয়টি বাঙলা নববর্ষ নিয়ে।
নববর্ষ পালন হারাম নয়, হারাম হচ্ছে ঐ দিন প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের জন্য অপেক্ষা করে দিনকে বরণের নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে নাচাগানার সাথে সূর্যকে বরণ করা – এটা সূর্যপুজারীদের কাজ। মুসলমান সূর্য উঠলে ইবাদত বন্ধ করে দেয়। নবীজী সা. সূর্য উঠা আর ডুবার সময় সলাত পড়তে নিষেধ করেছেন, যেনো আমাদের ইবাদত সূর্যপূজারীদের সাথে মিলে না যায়। একবার ভাবুন, সূর্য পুজার সাথে বাঙালী চেতনার কী সম্পর্ক? আল্লাহ্ বলেন, তোমরা সূর্য ও চন্দ্রের পুজা করো না, ইবাদত করো তাঁর যিনি চন্দ্র সূর্য সৃষ্টি করেছেন, (৪১:৩৭)।
নববর্ষ পালন হারাম নয়, হারাম হচ্ছে ঐ দিন প্রত্যুষে সূর্য উঠার সাথে সাথেই রবি ঠাকুরের প্রার্থণামূলক সঙ্গীত “এসো হে বৈশাখ এসো……” গাওয়া। ঠাকুরের প্রার্থনা আর মুসলমানের প্রার্থনা কি এক ? এই গানটির একটি কলি হলো “অগ্নি স্নানে সুচি হোক ধরা” অর্থাৎ আগুনে গোসল দিয়ে গোটা জগত পবিত্র হোক – এ বিশ্বাস হিন্দুদের, আর তাই মৃত্যুর পর আগুনে পুড়িয়ে তাদের পবিত্র করা হয়। একবার ভাবুন, অগ্নিস্নানের সাথে বাঙালী চেতনার কী সম্পর্ক? কিন্তু পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ বহুবার অবিশ্বাসীদের জাহান্নামের আগুনে ফেলে দেওয়ার তথা আগুন দিয়ে গোসল করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহর শত্রুদের জন্য প্রতিদান হিসেবে আছে আগুন (৪১:২৮)।
নববর্ষ পালন হারাম নয়, হারাম হচ্ছে ঐ দিন মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে বিভিন্ন দেব-দেবী, পশু-পাখীর মুখোশ নিয়ে কল্যাণ কামনা করা। ভুলে গেলে চলবেনা কল্যাণ অকল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ্। হিন্দুদের এক দেবতার নাম বিষ্ণু যার পত্নী হচ্ছে লক্ষ্মীদেবী। এদের ছিল পাঁচ কন্যা; পদ্মা, পদ্মালয়া, ইন্দিরা, শোভা, কমলা। হিন্দু মিথিওলজির মতে সমস্ত মঙ্গলের মালিক হচ্ছে লক্ষ্মী দেবী, যার বাহন হলো পেঁচা। এজন্যই মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্যতম প্রতীক ‘পেঁচা’। একবার ভাবুন, পেঁচা কি বাংলায় কথা বলে? না পান্তা ইলিশ খায়? পেঁচার সাথে বাঙালী চেতনার কী সম্পর্ক? আসলে সম্পর্ক বাঙ্গালীর সাথে নয়, লক্ষ্মীদেবীর বাহন রেডি করে আহবান করা হচ্ছে তাকে। কারণ সে না আসলে মঙল বিতরণ করবে কে? নাউজুবিল্লাহ
শয়তান আমাদের চিরশত্রু (২:১৬৮, ২:২০৮, ২৪:২১, ৩৫:৬, ৩৬:৬০) যার চূড়ান্ত টার্গেট মানুষকে মুশরিক বানিয়ে জাহান্নামে পাঠানো। শয়তান যদি আমাদের পূজামণ্ডপে ডাকতো আমরা তো যেতাম না, তাই সে কৌশল পরিবর্তন করে আমাকে দিয়ে শিরক ঠিকই করাচ্ছে, কিন্তু নাম দিচ্ছে বাঙালী চেতনা!!
একটু চিন্তা করুন, নিজের বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করুন, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বের হয়ে আসুন। জেগে উঠুন আপন মহিমায়, আনন্দ ফুর্তি করুন মুসলমান হিসেবে, আল্লাহ্ ও রসুলের দেখানো সঠিক সরল পথ মোতাবেক।
বছরের এই প্রথমদিনটি শুরু হোক ফজরের সলাত দিয়ে, আর যদি তা না হয়ে থাকে তবে প্রতিজ্ঞা হোক জীবনে আর কখনো সলাত মিস যাবেনা; পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, আভাবী দুঃখীদের খোঁজখবর নিবো ও যথাসাধ্য সাহায্য করবো । ইয়াস্তাজিবু, আল্লাহ আমাদের শপথটি কবুল করুন।
Collected …ভাল লাগলো তাই শেয়ার করলাম।