মজা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে কখনও অন্যর সাথে মজা করতে যাওয়া টা ঠিক না l
আমরা এই মজা করার মাত্রাটি অনেক সময়ই বুঝতে পারিনা। বুঝতে পারিনা, কোথায় আমাকে থামতে হবে। আর মজার বিষয়টি যদি অনলাইনে হয়, তখনতো সব রকম মাত্রাকে অতিক্রম করে ফেলি।
বন্ধু বান্ধবের মধ্য মজা থাকবেই, কম বেশি একজন আরেকজনকে পঁচাবে। এই টুকু মজা করার অধিকারের জন্যইতো সে বন্ধু। কিন্তু অনেক সময় হয় কি, আমরা মজার লাইনটি ক্রস করে ফেলি। যেখানে সেখানে, যার তার সামনে পঁচায়। ঘন্টার পর ঘন্টা পঁচায়। এবং পঁচিয়ে মনে করি যে, আমি বেশ স্মার্ট, আমার সাথে কথায় কেউ পারেনা। কিন্তু এটা ভাবিনা যে, আরেকজনকে পঁচিয়ে স্মার্ট হওয়া যায়না। বরং আরেকজনের প্রতি আমার ভালবাসা, সম্মানই আমাকে স্মার্ট করে তোলে।
একবার দেখেছি, এমন একজন যে সব সময় পঁচিয়ে বেড়ায়, তার সাথে কথায় কেউ পারেনা সেও যখন দল বেঁধে অন্যর পঁচানোর শিকার হয় তখন আর সে নিতে পারেনা। তখন সে বন্ধুদের সাথে গন্ডগোল করে বসে, দুরত্ব তৈরি হয়। তাই মাত্রাটি বোঝা উচিত। বোঝা উচিত কোথায় গিয়ে থামতে হবে।
বুলিং একজন মানুষকে মারাত্মক রকম ভাবে আঘাত করে। শরীরের আঘাত একটি সময় সেরে যায়। কিন্তু মনের আঘাত সহজে যায়না। সকলের সহ্য শক্তি এক রকম না।
আমাদের এখানে অনলাইনে মারাত্মকভাবে বুলিং করা হয়। বুলিং এর একটু সুযোগ পেলে দলবেঁধে নেমে পড়ি। কারো কাজ হাস্যকর বা সমালোচনার মত, আমি সুন্দরভাবে সেটার সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু নোংরা ভাবে বুলিং করা কেন? ফেসবুক, ইউটিউব বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সকলের একই স্বাধীনতা। কিন্তু সকলের একই শিক্ষা না।
একজন ছাত্রর শিক্ষা বা সমাজের সাথে, কোন চরাঞ্চলের শিক্ষা বা সমাজের বিস্তর ফারাক রয়েছে। অথচ চরাঞ্চলের মানুষটির কাছেও রয়েছে আপনার মত ফেসবুক। তার হয়ত সেই বোধগম্যটুকুই নেই যে, সামাজিক সাইটটি কিভাবে ব্যবহার করবে। তাই বুলিং করা চেয়ে, ভালভাবে ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়া শ্রেয়।
আবার শহরের মানুষও দেখি, দিনের পর দিন বুলিং করে। কিন্তু সমালোচনার নামে এখানে নোংরা ভাবে বুলিং করা হয়। আমরা গঠনমুলক সমালোচনা ও বুলিং এর পার্থক্যই বুঝে উঠতে পারিনা অনেক সময়।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরই এত সহ্য শক্তি নেই.
একটা বিষয় পরিস্কার হওয়া উচিত, আমি এমন কথা কেন বলব, যে কথায় মানুষ আঘাত পাবে? চেষ্টা থাকা উচিত মানুষ যেন আমার কথায় আনন্দ পায়। আর সুন্দর কথা বলাওতো একটি শিল্প। আমি কেন শিল্পের চর্চা করবো না?
আসুন সহনশীল হই। সমালোচনা করি, কিন্তু বুলিং এর পথ না ধরি।
বুলিং শারিরীক আঘাতের চেয়ে কম কিছু না.
আসুন এক সাথে বুলিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
ইন্টারনেট থেকে.
From: perthbashi@yahoogroups.com <perthbashi@yahoogroups.com> on behalf of Asif Akkas asif_ausi@hotmail.com [perthbashi] <perthbashi-noreply@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, November 26, 2019 8:06:06 AM
To: perthbashi@yahoogroups.com <perthbashi@yahoogroups.com>
Subject: [perthbashi] No Violence Against Women
Sent: Tuesday, November 26, 2019 8:06:06 AM
To: perthbashi@yahoogroups.com <perthbashi@yahoogroups.com>
Subject: [perthbashi] No Violence Against Women
গতকাল No Violence Against Women দিবস ছিলো.
কয়েকদিন আগে পাপুয়া নিউগিনির, ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত সুযোগ পাওয়া উপলক্ষে দেশটি সম্পর্কে জানার জন্য একটু ইউটিউবে গেলাম। একটি ডকুমেন্টরিতে সেই দেশে নারীর উপর নির্যাতনের ভয়ংকর সব কাহিনী জানলাম। অধিকাংশ নারীকেই গৃহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়। নির্যাতনগুলোও সব ভয়ংকর। আবার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সাথে যৌন সঙ্গম করা যে নির্যাতন, সেটি যে ধর্ষণের মধ্য পড়ে, সেটিই তারা বিশ্বাস করতে চাইনা। ঘরে এসে বউ পেটানো তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
অবশ্য এই দেশটিও উন্নত দেশ না, এখনও ক্রাইম রেট বেশি, তাই সেখানে এই বিষয়গুলো ঘটা স্বাভাবিক।
কিন্তু অনেক উন্নত-উন্নয়নশীল দেশ যেখানে শিক্ষার আলো বা অন্যান্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্বেও এখনও নারী নির্যাতনের হারের চিত্র বেশ ভয়ংকরই।
একটি কথায় প্রচলিত রয়েছে, বিড়াল মারো বাসর রাতে। বিশ্বের কিছু সংস্কৃতিতে বাসর রাতে স্বামীকে হিংস্র কিছু একটা করতে হয়, যেন সেই রাতে বউ বুঝতে পারে, তারা স্বামী রাগী, ক্ষমতাবান। আর এই চিত্রটিই তৈরি করা হয় যে, পুরুষকে হতে হবে রাগী, ক্ষমতাবান, বউকে ধমকের উপর রাখতে হবে।
সেই কারণে অনেক সমাজে নারী-পুরুষ সকলেই মনে করে, নারী হলে সংসারে একটু আধটু পুরুষের হাতে মার খেতেই হবে। এটি সংসারের অংশ, এটিই ফ্যাশন।
এটি খুবই দুখের কথা যে, আমরা শুধুমাত্র নারী হওয়ার জন্য নির্যাতন করি। পুরুষ হওয়ার জন্য পুরুষ নির্যাতিত হয়না, কিন্তু নারী হওয়ার জন্য নারী নির্যাতিত হয়।
নারীর উপর কোন অবস্থাতেই হিংস্রতা গ্রহণযোগ্য না। হিংস্রতা দেখলে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। এগিয়ে না এসে চুপ করে থাকা মানে সেই হিংস্রতাতে আপনারও অংশগ্রহণ আছে।
যে মানুষটি আজ থাপ্পড় দিল, তাকে প্রশ্রয় দিলে সে দুইদিন পরে আপনাকে হত্যাও করতে পারে। আর এমন হত্যার ঘটনা নিয়মিত পত্রিকায় দেখি। অনেকে পুরুষ নির্যাতিত হয় বলে নারী নির্যাতনের সাথে তুলনা করতে আসেন। পুরুষ নির্যাতিত হয় সেটি আলাদা ইস্যু। নারী নির্যাতনের সাথে এটির তুলনা হাস্যকর। নারীর হাতে প্রতিদিন কয়টা পুরুষ খুন, এসিড এর শিকার হয়?
কেউ কেউ আছে, স্বামীর লাত্থি খেয়ে ঘন্টাখানেক পরে আই লাভ ইউ শুনলে গলে যায়। সেদিন ইউটিউবে নারী হত্যার ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখছিলাম যেখানে, মেয়েকে প্রেমিকা থাকা অবস্থায় মারধর করতো, তবুও সে তার প্রেমিককে ভালবাসতো ও বিয়েও করেছিল। এরপর বিয়ে হয়, যথারীতি এক সময় হত্যাও করে। এমন কাহিনী অনেক রয়েছে। মনে করে, বিয়ে করলে ঠিক হয়ে যাবে। এই করলে ঠিক হবে, ওই করলে ঠিক হবে, কিন্তু হিংস্রতা এত সহজে ঠিক হয়না। কারণ তারা পশু, হিংস্রতা তাদের অন্তরে। এগুলো মানুষ না। তাই এদের প্রতিহত করতে হবে।
হিংস্রতায় দেখাদেখি, অপেক্ষার সময় নেই। প্রথম দিনের সাধারণ হিংস্রতা থেকেই হত্যার মত ঘটনা ঘটে।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, নিজেরা নারীর প্রতি হিংস্র হবোনা, অন্য কাউকে হতে দেখলে রুখে দাঁড়াব।
Reference Internet