;word-spacing:0px;”> অনেকে শুনে এসেছিলেন যে চট্টগ্রামের ভাষা না জানলে এই সিনেমার কিছুই বুঝা যাবেনা। মজার বিষয় দর্শকের আসনে একজন অবাঙ্গালি আরবীয় ভদ্রলোকও ছিলেন যিনি পুরো সিনেমাটার মধ্যে ডুবে ছিলেন। মেধাবী নির্মাতারাই কেবল সেটা সম্ভব করে তুলেন। আবার কেউ বলছিলেন, অনেকেই অপেক্ষায় আছেন এটা শীঘ্রই ইউটিউবে চলে আসবে এবং তখন দেখে নেবেন। আমার এই লেখাটি বিশেষত তাদের জন্য।
আজকে সিডনী, ব্রিসবেন এবং সুইডেনের উপ্সালা শহরে হালদা সিনেমাটি প্রথম প্রদর্শিত হয় এবং কেবল সিডনীর ২০০ সিটের হলের প্রথম দুটি সারি খালি ছিল। সিনেমা শেষে আমিসহ সকল দর্শকের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল – শূন্য আসনগুলোতে আজকে যারা বসতে পারলেন না, তাদের জন্য সমবেদনা। সিনেমাটির প্রতিটি ফ্রেম আমাদেরকে অবিরাম বিনোদিত করেছে কখনও হাসি, কখনও কষ্ট এবং কখনওবা অকৃত্রিম আশংকা দিয়ে। আপনার পরিচিত কেউ না কেউ যিনি সিনেমাটি নিজে দেখেছেন, তাকে জিজ্ঞেস করলেই জেনে যাবেন।
হালদা সিনেমাটি মুক্তির আগেই এটির স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং অনলাইন রাইটস ন্যায্যমূল্যে কিনে নিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান এবং সেই চুক্তি অনুসারে মুক্তির এক বছরের আগে এটি কোন টিভি চ্যানেল কিংবা ইউটিউবে চলে আসার সুযোগ নেই। আর যেই প্রতিষ্ঠান এই রাইটস কিনেছেন তারাও প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করেন যেন পাইরেসির সুযোগ না থাকে। সারমর্ম হোল যারা অজ্ঞাতনামার মত হালদাও বাড়িতে বসে ইউটিউবে কিংবা অলনাইনে দেখে নেয়ার আশায় আছেন, তাদের প্রায় বছর খানেক অপেক্ষা করতে হবে। আর অপেক্ষা না করতে চাইলে চলে যান কাছের প্রেক্ষাগৃহে যেখানে হালদা প্রদর্শিত হচ্ছে। একটা ভীষন ভালোলাগার অভিজ্ঞতা এবং পরিতৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরেবেন কথা দিচ্ছি।