;text-indent:0px;text-transform:none;white-space:normal;”>বাংলা সংস্কৃতি বাংলা মায়ের গোমটা টানা মুখে,
লাজুক কিশোরীর মাথা হেঁট করে পথ চলায়,
আর নানী-দাদীর ফোঁকলা দাঁতের হাসিতে ।
বাংলা সংস্কৃতি বৈশাখী মেলায়, বর্ষায় পাটের পঁচা গন্ধে,
অগ্রায়ণের নবান্নে, শীতের পিঠায়,
কিংবা চৈত্রের বিলে বক পাখির এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকায় ।
বাংলা সংস্কৃতি বৈশাখী মেলার রসগোল্লা আর জিলাপীতে,
শিশু-কিশোরদের হওয়ার মিঠাই আর নাগরদোলায়,
আর চারপাশে ভেসে আসা পাতার বাঁশিতে ।
বাংলা সংস্কৃতি হিন্দু-মুসলিমের শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানে,
বাংলা সংস্কৃতি লুঙ্গি কিংবা ধুতিতে, গামছায় আর শাড়িতে ।
কিন্তু হায় ! আজ যারা লুঙ্গির গিঁট দিতে জানেন না, তারাই বাংলা সংস্কৃতির ধারক-বাহক-রক্ষক । দেশে কিংবা বিদেশে যাদের পুত্র কন্যারা বাংলা বলে লর্ড ক্লাইভের মতো । বিদেশী ভাষার দখলটা চাই পোক্ত ! না হয় তাদের জীবনটা যে হবে শক্ত !!
এক সংস্কৃতির ধারক টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ।
"কি কি রান্না জানেন আপনি?"
"ওহ রান্না? চিকেন ফ্রাই, দিস স্যুপ, দ্যাট রেজালা …"
"ভাত রান্না করেন বাসায়?"
ন্যাকা গলায়, "ভাত? আপু, ভাতটা যে কখন সেদ্ধ হয় সেইটা আমি বুঝতে পারি না ।"
শৈশবে, কৈশোরে, যৌবনে দেখেছি অনেক বৈশাখী মেলা । দেশ বৈশাখী মেলায় মেতে উঠতো । যা দেখি এখন মিছিল-মিডিয়ায় কিংবা মঞ্চে, ছিল না তা গ্রামে গঞ্জে ! এখন যা দেখি, এসবই আশির দশকে শান্তিনিকেতন থেকে আমদানি করা সংস্কৃতি । আজ আসল সংস্কৃতি হারিয়েছে আমদানী করা করা সংস্কৃতির ভীড়ে । এও শীঘ্রই হারিয়ে যাবে হিন্দি সিরিয়ালের ভিড়ে ।
বাস্তবতায় আমি যা বুঝি । আমরা সবাই খ্যাতি খুঁজি । মাইকটা চাই আমার হাতে । ছেলেমেয়েরা হোক না বড় ইংরাজি জাতে ।
ধন্যবাদ । আল্লাহ আমাদের এই দূষিত সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করুন ।
Faruk Ahmed