কিছুদিন আগে এক লোক রাস্তায় আমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল। হয়তবা তার কোন পরিচিত মানুষের সাথে আমার চেহারার মিল ছিল বলে তিনি ওভাবে তাকিয়েছিলেন। কিন্তু তার ওই তাকানোটি আমাকে বেশ বিব্রত করেছিল। কখনো কেউ যদি রাস্তায় ৪-৫ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকে, তখন কেমন যেন আনইজি লাগে। মনে হয়, আমার মুখে কি কিছু লেগে আছে? এই স্বাভাবিক তাকানো গুলো একজন পুরুষ হিসেবে যখন আমাকে কিছুটা বিব্রত করে, তখন অশ্লীল তাকানো একজন নারীকে কতটা বিব্রত করতে পারে?
তাকানো কিন্তু অবশ্যই খারাপ না। পুরুষ নারী চেহারার প্রতি আকৃষ্ট হয়, এই থেকে নারীর দিকে দৃষ্টি দেয়। কিন্তু তাকানো ও কু-রুচিপুর্ণ তাকানোর মধ্য বিস্তর ফারাক রয়েছে।অধিকাংশ তাকানোগুলোই হয় কু-রুচিপূর্ণ। এটি একটি নারীর কাছে কতটা বিব্রতকর সেটি সেই নারী বুঝে। আর প্রতিটি সভ্য মানুষই বুঝতে পারে কোনটি সাধারণ তাকানো, আর কোনটি ইঙ্গিতপুর্ণ তাকানো।
আমি কেন জেনে বুঝে, আরেকজন মানুষকে বিব্রত অবস্থায় ফেলব? কেন অশ্লীলভাবে তাকিয়ে থাকবো? কেন তার স্বাভাবিক চলা ফেরায় বাধার সৃষ্টি করবো? দেখুন, এগুলো তো আর আইন দিয়ে ঠিক করার বিষয় না যে, কোন পুরুষ অশ্লীল দৃষ্টি দিলে তাকে জেল-জরিমানা করা হবে। এগুলো হলো একজন পুরুষ হিসেবে আপনার ভদ্রতা শেখার বিষয়, সভ্য আচরণ করার বিষয়।
তাই রাস্তায় কোন নারীর প্রতি এমন কোন দৃষ্টি স্থাপন করবেন না, যেন সেই নারীকে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়।
দয়া করে পোশাকের কথা বলবেন না। সাধারণ ড্রেস সংক্ষিপ্ত কাপড়, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ পরা নারীদেরও কু-দৃষ্টি সহ্য করতে হয়।
যারা পোষাকের কথা বলবে, তাকানোর পক্ষে কথা বলবে, তাদের বিষয় আলাদা। কিন্তু যারা সভ্য মানুষ হয়েও অভ্যাসবশত তাকিয়ে বেড়ান তারা কষ্ট করে হলেও ১০ দিন না তাকিয়ে থাকবেন। মানে পাশ দিয়ে কোন নারী হেটে গেল তো গেল, তাতে আপনার কি? তোমার চেহারা দেখার টাইম আমার নাই। নিজের ধান্দায় বাঁচিনা, আবার রাস্তা ঘাটে নারী দেখে বেড়াব? এই চেষ্টাটি করে দেখে, ১০দিন পরে এসে আমাকে জানায়েন। একটা মজা পাবেন, নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন।
কেউ কু-দৃষ্টি দিলে আপনারও দায়িত্ব তাকে প্রতিহত করা। নারীকে সেই কু-দৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা।